যেকোনো মূল্যে রাফায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু

জাতিসংঘ বলছে, রাফায় অভিযান চালালে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে চরম ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোও রাফায় অভিযান না চালাতে ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে।  তবে শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জনিয়েছেন ইসরায়েল যদি হামাসকে নির্মূল করেও থাকে তারপরও রাফায় প্রবেশ করব।  তিনি বলেন, রাফায় সেনা অভিযানের সমালোচকরা আসলে ইসরায়েলকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজয় মেনে নিতে বলছেন।   
বক্তব্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিরও বিরোধিতা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি যতদিন ইসরায়েলের নেতৃত্বে থাকব, তত দিন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতির তীব্র বিরোধিতা করে যাব। ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের পরও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে সন্ত্রাসবাদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।
টেলিভিশনে নেতানিয়াহু যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন তখনও তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা না করে তাদের ত্যাগ করেছে নেতানিয়াহু। এই সময় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের আলোচনা আহ্বানও জানান বিক্ষোভকারীরা। ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে গত চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে গাজার প্রায় সব অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বাকি আছে শুধু মিসর সীমান্তবর্তী রাফা।   
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার মুখে প্রাণ বাঁচাতে রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন গাজার প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি। খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে সেখানে চরম মানবেতরভাবে জীবন কাটাচ্ছেন তারা। এই অবস্থায় রাফা অভিযান তথা হামলা শুরু হলে ব্যাপক বেসামরিক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।