১২ ও ১৩ এপ্রিল কী হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২১ এপ্রিল ১০, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল সবকিছু। রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় প্রতিদিন হাজির হচ্ছে আতঙ্ক নিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৭ জন মারা গেছেন। এরপরও হাটবাজার-পথঘাট কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এদিকে দেশে চলছে সাতদিনের শিথিল ‘লকডাউন’। যা রোববার (১১ এপ্রিল) শেষ হবে। এ লকডাউনের শুরুতে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দূরপাল্লার বাস আর পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া এখন সবই খোলা। এর মধ্যে শুক্রবার ঘোষণা দেওয়া হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’। এমন পরিস্থিতিতে মাঝের দুদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই দুইদিন কি সব স্বাভাবিক চলবে, নাকি বর্তমান অবস্থা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ এর মতো চলবে, তা জানে না কেউ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এমনিতেই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সরকার ঢিমেতালে চলছে। ফলে এই দুইদিন স্বাভাবিক রাখার কোনো কারণ নেই। অন্তত বর্তমান অবস্থার মতো রাখতে হবে। অন্যথায় হাজারো মানুষ ছুটবে গ্রামের দিকে, দ্বিগুণের বেশি ভিড় বাড়বে শহর আর শপিংমলে। তারা বলছেন, সবার এমন অবহেলা দেখে বারবারই সতর্ক করে আসছিলাম আমরা। কিন্তু কারো যেন কানে তোলার সময় নেই। ফলশ্রুতি করোনা ভাইরাসের দাপট। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মাঝের দুদিন কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকালের (১১ এপ্রিল) মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান অবস্থার মতোই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা বলা হতে পারে। এদিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় মতামত এসেছে, অন্তত দুই সপ্তাহ যাতে পূর্ণ লকডাউন দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংক্রমণপ্রবণ ৬টি জেলায় সেটা জোরালো করার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণপ্রবণ এলাকাতে কঠোর লকডাউন দেওয়া প্রয়োজন, প্রয়োজনে কারফিউ জারি করে সংক্রমণটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বিআইডিএসের সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে চলমান এ লকডাউন নিয়ে প্রশ্নই করা যায় যে, ৭ দিন করে দিলে আবার বাদ দিয়ে আবার ৭ দিন- এভাবে করে করোনার ঝুঁকি কমানো যাবে না। একসঙ্গে দিলে হয়তো ঝুঁকিটা কমানো যেত। বাঁচতে হলে দ্রুত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ মেনে দুই সপ্তাহ লকডাউনে যাওয়ার ওপর জোর দেন ড. নাজনীন আহমেদ। বলেন, এর মধ্যে অধিক সংক্রমণ প্রবণ ৬ জেলায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। তিনি মনে করেন, নামকাওয়াস্তে নয়, লকডাউন হতে হবে সমন্বিত। শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে লকডাউন। লকডাউনের বিষয়ে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। সূত্র: সময়নিউজ।

সম্পাদক : মোহাম্মদ তাইফুর রিয়াজ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক :  মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
নির্বাহী সম্পাদক :   এম.এ কাইয়ুম 
উপ-সম্পাদক: মোঃ সামশুল কবির শাহীন

 

■ অফিস  :
প্রধান কার্যালয় : ২৪, গার্ডেন ভিউ, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লুফ রোড (লিংক রোড), ৬নং ব্রীজ, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : এম.এম টাওয়ার (৮ম তলা, লিফট-৭), সানমারের উত্তর পাশে, জিইসি মোড়, চট্টগ্রাম

মোবাইল : +8801894 78 50 10
ই-মেইল : dainikchattogramerpatabd@gmail.com

কপিরাইট © 2018-2024 দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা
Design & Developed by Smart Framework