তিনটি ভ্যাকসিন ডব্লিউএইচও'র তালিকাভুক্ত হওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২০ অক্টোবর ১৭, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল টেস্টের জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনিবার (১৭ অক্টোবর) গ্লোব বায়োটেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ডব্লিউএইচও'র ওয়েবসাইটেও তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। গ্লোব বায়োটেকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে বলা হয়, শুধু মাত্র গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় স্থান পেয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো হচ্ছে,  D614G variant mFNA Vaccine, DNA Plasmid Vaccine, Adonocirus Typo-5 Vcctor Caccine. গ্লোব বায়োটেকের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ গত ১২ আগস্ট গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বাজারে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আসার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন। তার এই আশাবাদ প্রকাশের একমাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রি-ক্লিনিক্যাল টেস্টের তালিকাভুক্ত করলো। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তালিকায় ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের ভ্যাকসিনসহ ১৫৬টি কোম্পানি রয়েছে। আরো পড়ুন: বাংলাদেশের করোনা ভ্যাকসিন তালিকাভুক্ত করল ডব্লিউএইচও গত ৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের উদ্ভাবিত টিকা ‘ব্যানকোভিড’ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও ড. কাকন নাগ। তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ‘ব্যানকোভিড’ টিকাটি ডি৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ও একমাত্র আবিষ্কৃত টিকা। ইতোমধ্যে অ্যানিমেল মডেল ইঁদুরে নিয়ন্ত্রিত ও পূর্ণাঙ্গ প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যানকোভিড সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। যার বিস্তারিত ফলাফল বায়ো-আর্কাইভে (biorxiv) প্রি-প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। গ্লোব বায়োটেক জানায়, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেসে প্রাপ্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক করোনার সব সিকুয়েন্স বায়োইনফরমেটিক্স টুলসের মাধ্যমে বিশদ পর্যালোচনা করে তাদের টিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টিকা সারাবিশ্বে অধিক কার্যকরী হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা আমাদের টিকার টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকুয়েন্স এনসিবিআই ডাটাবেসে জমা দিয়েছি, যা ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত টিকাটির বিশদ বিশ্লেষণের পর প্রাথমিকভাবে ল্যাবরেটরি অ্যানিমেল মডেলে (খরগোশ) প্রয়োগ করে যথাযথ অ্যান্টিবডি তৈরিতে সন্তোষজনক ফলাফল পেয়ে টিকা গবেষণার সফলতা জাতিকে জানিয়েছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে গবেষকেরা একটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে ছুটছেন। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৪০টির বেশি ভ্যাকসিনের ওপর নজর রেখেছে। ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষা করতে সাধারণত বেশ কয়েক বছর সময় লাগে। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে তবেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের উপযোগী হয়। তবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গবেষকেরা ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সম্পাদক : মোহাম্মদ তাইফুর রিয়াজ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক :  মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
নির্বাহী সম্পাদক :   এম.এ কাইয়ুম 
উপ-সম্পাদক: মোঃ সামশুল কবির শাহীন

 

■ অফিস  :
প্রধান কার্যালয় : ২৪, গার্ডেন ভিউ, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লুফ রোড (লিংক রোড), ৬নং ব্রীজ, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : এম.এম টাওয়ার (৮ম তলা, লিফট-৭), সানমারের উত্তর পাশে, জিইসি মোড়, চট্টগ্রাম

মোবাইল : +8801894 78 50 10
ই-মেইল : dainikchattogramerpatabd@gmail.com

কপিরাইট © 2018-2024 দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা
Design & Developed by Smart Framework