২০০ নারীকে ভারতে পাচার করেছে এই সিন্ডিকেট

টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২১ আগস্ট ১৬, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

গত মে মাসে ভারতে বাংলাদেশি এক তরুণীর পৈশাচিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) পার্শ্ববর্তী দেশে মানব পাচারকারীর অন্যতম হোতা বস রাফিসহ চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার নারী পাচারকারী চক্রের তিন সদস্য মো. কাল্লু (৪০), মো. সোহাগ ওরফে নাগিন সোহাগ (৩২) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৪১) চক্রের হাত ধরে এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ নারী পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নারী পাচারকারী দলের মূলহোতা কাল্লু জানিয়েছে- তাদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে অন্তত ২০০ জন নারীকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করেছে। এই সিন্ডিকেটটি একেকজন নারীকে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকায় এই চক্রের সেফ হাউজ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের নিয়ে পাচারের উদ্দেশে সেফ হাউজে নিয়ে যাওয়া হতো। তারপর সেখান থেকে ভারতে পাচার করা হতো। এই সেফ হাউজের সমন্বয় করত বিল্লাল হোসেন। বিল্লাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগেও মানবপাচার মামলা ছিল এবং তারা জেলও খেটেছে। কাল্লুও জেলে ছিল।’


খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সোহাগ ওরফে নাগিন সোহাগ ওরফে ভাগিনা সোহাগ নারী পাচার চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এই চক্রটি মিরপুর, তেজগাঁ ও গাজীপুর এলাকায় বেশি সক্রিয়।’

নিজের মেয়েকে পাচারের বিষয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় এক মা অভিযোগ করলেও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পুলিশ একটি দায়িত্বশীল বাহিনী। তবুও এমন কোনো অভিযোগ করা হলেও কেন তারা পদক্ষেপ নেয়নি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।’

এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কাল্লু, সোহাগ ও বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নারী পাচারকারী চক্রটি চলতি বছরের শুরুতে মিরপুরের এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে পাচার করে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে। পরে ওই মেয়েকে উদ্ধার করতে তার মা পরিচয় গোপন করে ওই চক্রটির সদস্য হয়ে ভারতে যান। পরে মা তার মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে।


সম্পাদক : মোহাম্মদ তাইফুর রিয়াজ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক :  মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
নির্বাহী সম্পাদক :   এম.এ কাইয়ুম 
উপ-সম্পাদক: মোঃ সামশুল কবির শাহীন

 

■ অফিস  :
প্রধান কার্যালয় : ২৪, গার্ডেন ভিউ, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লুফ রোড (লিংক রোড), ৬নং ব্রীজ, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : এম.এম টাওয়ার (৮ম তলা, লিফট-৭), সানমারের উত্তর পাশে, জিইসি মোড়, চট্টগ্রাম

মোবাইল : +8801894 78 50 10
ই-মেইল : dainikchattogramerpatabd@gmail.com

কপিরাইট © 2018-2024 দৈনিক চট্টগ্রামের পাতা
Design & Developed by Smart Framework