রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ৩১০ জেলের মাঝে মাথা পিছু ২০ কেজি করে ৬ ২০০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়েছে। ৮ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় আমতলী ইউনিয়নের অস্থায়ী খাদ্য গোডাউনের সামনে এসব চাউল বিতরণ করেন আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরী।
চেয়ারম্যান জানান, কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতি ভাবে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে তিন মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে জেলেদের মাঝে এসব চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপকারভোগী ৩১০ জেলের পাশাপাশি আমতলী ইউনিয়নের সচিব সগির আহম্মেদ সহ ইউপি সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেলেদের চাউল আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ করেন মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি, অভিযোগে তিনি লিখেছেন আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরী জেলেদের চাল উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মজিবুর রহমান আরো বলেন, রাশেল চেয়ারম্যান জেলেদের চাল আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য গত ১৫ দিন আগে খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেও কোন জেলেকে চাল বিতরণ করেননি বরং আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করার কারণে তিনি আবার অন্য প্রকল্পের চাউল জেলেদের মাঝে বিতরণ করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেয়েছেন।
এদিকে, ৮অক্টোবর শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানবিক সহায়তা নিতে আসেন।
তাদের কোন অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় জেলে মনির হোসেন বলেন, আমরা প্রতিমাসে যথা সময়ে চাল পেয়েছি আমাদের কোন অভিযোগ নেই। তারা যথাসময়ে চাউল পেয়ে অনেক খুশি বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রাশেল চৌধুরী বলেন, সামনে নির্বাচন তাই উদ্দেশ্য প্রনোধিত ভাবে কেউ কেউ মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে বদনাম রটানোর চেষ্টা করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়নি মর্মে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি।
অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমি চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত সময়ে জেলেদের মাঝে চাউল বিতরণ করতে ।
মন্তব্য করুন