শনিবার, ২০২৫ Jun ২১, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
#
মহানগর মহানগর

'চট্টগ্রাম প্রবর্তক সংঘের ভূমি ব্যবহারে শর্ত ভাঙ্গলে চুক্তি বাতিল করা হবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২১ মার্চ ২২, ১২:২৪ অপরাহ্ন
#
তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, আধ্যাত্মিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রবর্তক শ্রীশ্রী কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণের জন্য ইসকন নামক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চুক্তি সম্পাদন হয়। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে সুন্দর পরিবেশে মনোরম শ্রীমন্ডিত মন্দিরটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। প্রবর্তক পরিচালনা কমিটি এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এই ঐতিহ্যমন্ডিত মন্দিরটি সারাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের ধর্মচারণের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা সংযুক্ত করবে। আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যস্ফীতির হারসহ মিলে বিপুল পরিমাণে প্রশাসনিক ও খাদ্য-শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সংঘের জায়গা ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রেখে অনেকগুলো রূপকল্প তৈরি করেছে যেগুলো প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি ইসকনের আচরনে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রবর্তকের ভূমির প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক উন্নয়নে আরো অধিক গুরুত্ব দিয়ে সম্পদের সদ্ব্যবহার করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সম্পত্তি যথেচ্ছ ব্যবহারে আমরা অনুমতি দিতে পারি না। প্রবর্তক শ্রীশ্রী কৃষ্ণ মন্দিরটি সাধুনিবাস ও সমাধি মিলিয়ে মোট ১৬,৩৭৬ বর্গফুট অর্থাৎ ১৮.৯৫ গন্ডা পাহাড় শীর্ষে জায়গার উপর নির্মিত হয়। উভয়পক্ষের তিনজন করে মনোনীত ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির (সভাপতি এবং সম্পাদক ইসকনের) নিয়ন্ত্রণাধীনে ইসকন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই মন্দিরের পূজা, অর্চনা, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মসভা উৎসবাদি অনুষ্ঠান করবে। কিন্তু নির্ধারিত স্থান, স্থাপনা এবং অনুমোদিত যাতায়াতের পথে কোথাও কোনো মালিকানা দাবি করতে পারবে না। চুক্তি মোতাবেক উক্ত জমি এবং সংশ্লিষ্ট সব স্থাপনার মালিকানা প্রবর্তকের নিকট সংরক্ষিত থাকবে। ইসকন কর্তৃপক্ষ বা তাদের মনোনীত কোন ব্যক্তি কোনোভাবেই প্রবর্তক সংঘের স্বার্থবিরোধী এবং সম্পত্তির নিরাপত্তা বিঘ্ন করার মত কোনো কাজে লিপ্ত থাকতে পারবে না। এইরূপ কোনো আচরণ বা কাজ পরিলক্ষিত হলে তাদের সাথে সম্পাদিত চুক্তিটি বাতিল করা যাবে। প্রবর্তক কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল ইসকন যথার্থ সততার সাথে তাদের চুক্তির শর্তাদি পালন করবেন। তিনি আরো বলেন, ইসকনের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ার পর তিন দফা চিঠি প্রেরণ করে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। গত এক মাস যাবত এই প্রয়াসে ব্যর্থ হয়ে পরিবেশগত সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রয়োজনে প্রবর্তকের জায়গায় নির্মিত ছোট নিরাপত্তা চৌকিটি সংস্কারের জন্য গত ১৪ মার্চ তিন জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকাকালীন ইসকনের চিহ্নিত ছয় জন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজন রড, হকিস্টিক, দা, হাতুরী ও অস্ত্রশস্ত্রসহ এগিয়ে এসে কাজে বাধা দিয়ে হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। হামলায় গুরুতর আহত প্রবর্তকের কর্মচারীদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাত ৯টায় পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সি আর মামলা নং-১৭০/২১ দায়ের করা হয়। এছাড়াও প্রবর্তক সংঘের পক্ষ থেকে যৌক্তিকভাবে অন্যায় প্রয়োজনীয় বিধিবদ্ধ ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। কারণ আমরা চাই, যে কোনো মূল্যে প্রবর্তক সংঘের শতভাগ স্বার্থ সংরক্ষিত হোক এবং প্রাতিষ্ঠানিক, স্থানীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনোরূপ শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়। সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীদের আত্মত্যাগের ফসল এ প্রবর্তক সংঘ। এ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থ সংরক্ষণে যৌক্তিক মনন দিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি। ২৪ টিভি/এডি
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video