মঙ্গলবার, ২০২৫ Jun ২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
#
মহানগর মহানগর

চবি ছাত্রলীগের অবরোধ

ফটকে তালা, বন্ধ শাটল ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২২ সেপ্টেম্বর ১৯, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
#

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে এবার অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।  

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।

অবরোধে অংশ নেওয়া শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক ছয়টি উপগ্রুপ হলো- ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।

অবরোধকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ষোলোশহর রেলওয়ে স্টেশনে আটকে দিয়েছে। ষোলশহর স্টেশন মাস্টার অভি সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

এছাড়া অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের উদ্দেশে কোনও শিক্ষক বাস ছেড়ে যায়নি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকার ফটকেও তালা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আরবি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে।

আন্দোলনকারীদের তিন দাবি

পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরীজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা অনেকদিন ধরে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই পদবঞ্চিতদের আন্দোলন আমি সমর্থন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের এ দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে।

এর আগে গত ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানান ৯৪ জন পদধারী নেতা। এসময় আগস্টের পর থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video